Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ব্যাটালিয়ন আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ

প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য:

১। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যগণকে যোগ্য, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে গড়ে তোলা।

২। তাদের উপর অর্পিত প্রশাসনিক, অপারেশনাল, আইন-শৃংখলা রক্ষা এবং প্রদত্ত দায়িত্বাবলী দক্ষতার সাথে পালনে সক্ষম করা।

৩। প্রয়োজনীয় শারীরিক যোগ্যতা ও দৈহিক উৎকর্ষ সাধন করা।

৪। প্রাধিকৃত অস্ত্রের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, অস্ত্র খোলা-জোড়া ও অস্ত্র চালনায় পারদর্শী করা।

৫। আনসার ব্যাটালিয়নের সৈনিক হিসেবে অপারেশন ও নিরাপত্তাদানে দক্ষ করে গড়ে তোলা।

৬। অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যক্তিগত ভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলা।

৭। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আইন ও বিধি-বিধান, আভিযানিক এসওপি এবং বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করা।

৮। অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎকর্ষ এবং নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তোলা।

৯। দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন প্রকার লেথাল ও নন-লেথাল অস্ত্রের আইনগত ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা।

১০। দেশ-মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

 

প্রশিক্ষণ সম্পর্কীত ধারণা :

১। প্রশিক্ষণের মেয়াদ: ৬ মাস (১৮০ দিন)

২। প্রশিক্ষণকালে ছুটি : প্রশিক্ষণকালে সাধারণভাবে কোন ছুটি দেয়া হয় না। তবে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য সরকারি ছুটিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

৩। প্রশিক্ষণের দৈনিক পিরিয়ড সংখ্যা: ১১ পিরিয়ড।

৪। প্রতি পিরিয়ডের সময়: ৪০ মিনিট।

৫। প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা: নিয়োগ সাপেক্ষে। 

৬। প্রশিক্ষণার্থীর যোগ্যতা: নব নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য।

৭। প্রশিক্ষণের স্থান: বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি।

 

প্রশিক্ষণের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি:

নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য নিম্নোক্ত পাঠ্যসূচি অন্তর্ভূক্ত থাকে। যথা- মৌলিক শরীর চর্চা ও ড্রিল, নিরাপত্তার ধারণা প্রদান, বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র প্রশিক্ষণ, মেঠো কৌশল ও রণ কৌশল, আইন-শৃখংলা রক্ষায় নিরাপত্তা প্রদান পদ্ধতি, ভিআইপি প্রটেকশন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি, ম্যাপ রিডিং, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আইন, বিধি-বিধান ও নীতিমালা, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি ইত্যাদি।

 

প্রশিক্ষণে মূল্যায়ন পদ্ধতি:

প্রশিক্ষণার্থীদের ১০০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে লিখিত পরীক্ষা, ব্যবহারিক পরীক্ষা, ফায়ারিং প্রতিযোগিতা, শৃংখলা ও আচরণ বিধি, শারীরিক ফিটনেস, পাঠ পরিকল্পনা ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্যায়ন করে উত্তীর্ণের ভিত্তিতে সনদপত্র প্রদান করা হয়। কেবল উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীরাই ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে নির্বাচিত হয়।